Hyperion : পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাছের গল্প

Hyperion


Hyperion : পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য গাছ, কিন্তু তাদের মধ্যে একটি গাছ সবার চেয়ে আলাদা। সেই গাছটির নাম হাইপেরিয়ন। কী আছে এমন হাইপেরিয়নে, যা তাকে করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা গাছ? চলুন, আজ তারই গল্প জানা যাক

কতটা লম্বা হাইপেরিয়ন?

হাইপেরিয়ন একটি বিশাল কোস্ট রেডউড গাছ, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার রেডউড ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত। এর উচ্চতা足足 ৩৮০. ফুট (১১৫.৯২ মিটার)! অর্থাৎ, এটি ১৪ তলা ভবনের চেয়েও লম্বা! এতো বিশাল আকৃতির কারণে, হাইপেরিয়নকে গাছের রাজাও বলা হয়

কবে আবিষ্কৃত হয়েছিল হাইপেরিয়ন?

২০০৬ সালে ক্রিস অ্যাটকিন্স এবং মাইকেল টেলর নামের দুই প্রকৃতিবিদ হাইপেরিয়ন গাছটি আবিষ্কার করেন। তবে পর্যটকদের দ্বারা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য, এর সঠিক অবস্থান গোপন রাখা হয়

হাইপেরিয়নের বয়স কত?

আনুমানিক হিসেবে, হাইপেরিয়নের বয়স ৬০০ থেকে ৮০০ বছরের মধ্যে। অর্থাৎ, এটি একটি প্রাচীন গাছ, যা কয়েক শতাব্দী ধরে সাক্ষী হয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসের

কিভাবে এতো লম্বা হল হাইপেরিয়ন?

কোস্ট রেডউড গাছগুলো সাধারণতই লম্বা হয়। তবে হাইপেরিয়নের এতো বিশাল আকারের পেছনে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ। যেমন:

·         জলবায়ু: রেডউড ন্যাশনাল পার্কের আর্দ্র এবং ঠান্ডা জলবায়ু এই গাছের বৃদ্ধিতে সহায়ক

·         মৃত্তিকা: এখানকার জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ মাটি রেডউড গাছের জন্য খুবই উপযুক্ত

·         প্রতিযোগিতা: আশেপাশের গাছগুলো থেকে কম প্রতিযোগিতা হওয়ায় হাইপেরিয়নকে অধিক সূর্যের আলো এবং পুষ্টি উপাদান পেতে সাহায্য করে

হাইপেরিয়নের ভবিষ্যৎ

আশা করা যায়, হাইপেরিয়ন আরও অনেক বছর ধরে পৃথিবীকে সাজিয়ে রাখবে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবিক কার্যকলাপের ফলে গাছগুলোকে বিপদ হুমকি দিচ্ছে। তাই পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বৃক্ষরোপণের মতো কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের এই অমূল্য গাছগুলোকে রক্ষা করতে হবে

উপসংহার:

হাইপেরিয়ন শুধু একটি গাছই নয়, প্রকৃতির অদ্ভুত ক্ষমতার এক প্রতীক। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে পৃথিবীতে এমন কিছু রয়েছে, যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। তাই প্রকৃতির সঙ্গে সহযোগিতা করে, চলুন আমরা সবাই মিলে এই গ্রহকে বাঁচানোর চেষ্টা করি

Join Our Whatsapp Group - Click Here

 


Post a Comment

0 Comments